চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার যদুপুর গ্রামের রিপন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন- এমন খবর গ্রামে ছড়িয়ে দিলে পরিবারের লোকজন কবর খনন শেষ করে ফেলেন। তবে খননকাজ শেষ করার তারা জানতে পারেন- রিপন মারা যায়নি, ঢাকার একটি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি আছেন তিনি। পরে ওই খননকৃত কবরের স্থানে কলাগাছের দাফন করা হয়। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

স্থানীয়রা জানায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের যুদুপুর গ্রামের মৃত সায়েদ মিয়ার ছেলে ট্রাকচালক রিপন গত ২৪ জুলাই করোনা আক্রান্ত হয়ে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি দেখা দিলে পরিবারের লোজকজন উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যায়। রিপনকে আইসিইউতে রাখা হয়।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ দিকে ঢাকা থেকে নিকটজন খবর পাঠানো হয় যে রিপন মারা গেছেন। দাফনের জন্য গ্রামে কবর খননসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়। পর দিন সকালে লাশ গ্রামে পৌঁছুবে বলেও জানানো হয়। এ খবর পেয়ে পরিবারজুড়ে যেমন পড়ে যায় কান্নার রোল। সেই সাথে সকালে দাফনের জন্য বাড়ির পাশে খনন করা হয় কবর।

কিন্তু, শুক্রবার সকালের ঢাকা থেকে আবার জানানো হয় রিপন বেঁচে আছেন, ওই হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন। মৃত ঘোষণার পর বেঁচে থাকার এমন খবর নিয়ে যদুপুর গ্রামে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। পরে খননকৃত কবরে কলাগাছ দিয়ে প্রতীকী দাফন সম্পন্ন করে গ্রামবাসী।

বেগমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হোসেন বলেন, রিপন করোনা আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে আইসিইউতে আছেন। বৃহস্পতিবার রাতে পরিবারের লোকজন রিপনের মারা যাওয়া খবর পেয়ে পর দিন সকালে কবর খননও করে। আবার সকালে জানতে পারে রিপন মারা যায়নি, বেঁচে আছে। সেই খননকৃত কবরে কলাগাছ দিয়ে প্রতীকী দাফন করা হয়।

তিনি আরো বলেন, লাশের জন্য কবরে খননের পর লাশ না দিলে সেখানে অন্যকিছু দিয়ে দাফন করার প্রথা প্রচলিত আছে বলে জানি। তবে আমার দেখা এই প্রথম।

Post a Comment

Previous Post Next Post